ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে ফুলের বানিজ্যিক চাষ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬-১২-২০২৩ সকাল ৯:৪০

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নারগুন ইউনিয়নে দিন দিন বেড়েই চলেছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাহিদা। আর ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা মেটানোর প্রত্যাশা নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে গাঁধা ফুলের চায়। কৃষকদের অনেকেই নতুন উদ্যমে ফুলের বাণিজ্যিক চাষে এগিয়ে এসেছেন।

গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বেশ কয়েক জাতের ফুল উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন ঠাকুরগাঁও সদরের নারগুন ও বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের কয়েকজন উদ্যোক্তা। আর ঠাকুরগাঁয়ে ফুল চাষকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে অনেকের কর্মসংস্থান।

জেলার বিভিন্ন নার্সারি ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য ফসলের তুলনায় অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এখন ফুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। ফুলের উৎপাদন ভালো হওয়ায় আশপাশের অন্যান্য চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উদ্যোক্তাদের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন। আর রংবেরঙের নানা জাতের ফুলবাগান দেখতে ছুটে আসছেন অনেকেই।

ঠাকুরগাঁওয়ে ফুলবাগান দেখতে আসা এ রকমই একজন সরিফুল ইসলাম বলেন, শহরের পাশেই এত সুন্দর ফুলের বাগান দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। এক স্বর্গীয় আনন্দানুভূতি কাজ করছে অন্তরজুড়ে। তাই অনেক ছবি তুলেছি বাগানে। যে কোনো ফুলপ্রেমিই এখানে এসে মনের খোরাক জোগাতে পারবেন।

ফুল চাষি মিজান জানান, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের কদর থাকায় এক সময় অন্য জেলা থেকে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করা হলেও এখন নিজ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে নানা জাতের ফুল। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন জাতের উন্নত মানের ফুল চাষ করা হয়েছে ঠাকুরগাঁও সদরের নারগুন ও বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে। এখান থেকে ফুল সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারে। 

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্রে  জানান অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবেন, অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হবে।

Newsdesk / super admin