ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ইতালির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্ব সংগীত কেন্দ্রের ১১বছর পূর্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৩।


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬-১-২০২৪ সকাল ৮:৩৩

সুস্থ ধারার বাংলা সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশের লক্ষ্যে "বিশ্ব প্রাণে বাংলা সুর" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইতালির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্ব সংগীত কেন্দ্রের ১১বছর পূর্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৩। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি শিল্পী ও সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব, নকশিকাঁথার প্রদর্শনী, গুনীজন সম্মাননা ও বহুজাতিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। 

প্রবাসে পাড়ি জমানো শিল্পীদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াসে ২০১২সালে ইতালির রোমে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী কাজী জাকারিয়া। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিল্পীদের সুস্থ ধারার বাংলা সংগীতচর্চার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রবাসে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা গানের চর্চা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে চলছে সংগঠনের কার্যক্রম। 
আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্ব সংগীত কেন্দ্রের ১১বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে ইতালির রোমে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম। নানা আয়োজনে সাজানো এই অনুষ্ঠান দুপুর থেকে শুরু হয়ে চলে রাত পর্যন্ত। বিশ্ব সংগীত কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বৈশ্বিক সমন্বয়ক জাকারিয়া কাজীর সার্বিক তত্বাবধানে, যুগ্ম প্রধান সমন্বয়ক অনুপ কুমার ঘোষ ও লন্ডন শাখার যুগ্ম প্রধান সমন্বয়ক সুমনা সুমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইকবাল আহমেদ বাবু, বিশ্ব সংগীত কেন্দ্র এরিজোনা শাখার প্রধান সমন্বয়ক এম এ শোয়েব, যুগ্ম প্রধান সমন্বয়ক রাশিদুল মনসুর পলাশ, সমন্বয়ক সচিব আশফাক আনসারী। 
অনুষ্ঠানে সদস্য সচিব ফারিয়া আঁখির সার্বিক তত্বাবধানে প্রবাসী নারীদের পরিবেশনায় ছিলো পিঠা উৎসব। প্রবাসের শত ব্যস্ততা ভুলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নানা রকমের বাহারি পিঠা দেশি বিদেশী অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন তারা। শীতের আমেজে প্রবাসী নারীদের দেশীয় পিঠার এই পরিবেশনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দর্শনার্থীরা।
সম্মেলনে বাংলা ভাষা, শিল্প, ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখায় প্রফেসর ফ্রান্সেসকো জান্নি, কাতিউশা কার্না, সারা রোসেত্তি স্টেফানো রোমানো,  স্ভেতলানা চেললিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।   
সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর নাগরিকগণ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলা ভাষায় সংগীত পরিবেশন করেন। বিদেশী শিল্পীদের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের রাশ্মি ভাট, আনন্দী চক্রবর্তী, ইতালির জুলিয়া দান্তে, ইগর ওরিফিচি সিরিয়ার সালেহ তাওউইল  বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ও স্থানীয় শিল্পীরা। 
আয়োজকরা জানান সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে একটা সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরিতে ভবিষ্যতেও এভাবেই কাজ করে যাবে ‘বিশ্ব সংগীত কেন্দ্ৰ’।

Newsdesk / Newsdesk